Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সফল আত্মকাহিনী
ডাউনলোড

অনুচ্ছেদ ১৬

 

সফল আত্মকাহিনী

পাহাড়ী জনপদ বান্দরবান সদর উপজেলাধীন রেইছাথলি পাড়া গ্রামের এক অস্বচ্ছল পরিবারের মা-বাবা আর দুই বোন এর সংসার ছোট হলেও দারিদ্রতার কারণে সংসারে সুখ ছিল না। বাবার অসুস্থতা সংসারে অস্বচ্ছলতার একটি মূল কারণ। বাবার ৫.০০ (পাঁচ) একর পাহাড়ি জমি আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস। জমির চাষের আয় দিয়ে কোন রকম টানা টানি করে চলে আমাদের ছোট সংসার। সংসারের হাল ধরার মতো কোন ছেলে সন্তান না থাকায় দিন দিন যখন দারিদ্রতা কষাঘাতে যখন নির্মজিত হচ্ছিল আমাদের সংসারে, অভাবের তাড়নায় যখন দিনে দুই বেলা আহার জুটত না, ঠিক তখনি নিজের প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় মনোবল সংসারের দায়িত্ব তুলে নিতে হয় আমার কাঁধে। প্রথমে নিজ জমিতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ, শুকর পালন, গাভী পালন, সেগুন বাগান ও সবজি চাষ তার সাথে ঘরের আঙ্গিনায় ঘাস চাষ ও মুরগির খামার ইত্যাদি শুরু করি। প্রথম দিকে পারিপার্শ্বিক বাঁধা থাকা এবং অর্থ সংকটের কারনে প্রকল্পতে লাভ কম হলেও আমার ইষ্পাত কঠিন মনোবল অদম্য সাহিকতার ও কঠোর পরিশ্রম করে চলি। সে সকল বাঁধা অতিক্রম করে এরি মধ্যে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বান্দরবান থেকে (তিন মাস মেয়াদী) গবাদী পশু, হাঁস-মুরগি পালন, কৃষি মৎষ্য চাষ ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে, প্রকল্পে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে উন্নয়ন করতে থাকি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আমার এই প্রচেষ্টায় সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে। তাছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সদর, বান্দরবান এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের সার্বিক উৎসাহ ও তত্ত¡াবধান আমার প্রকল্পে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। প্রথম দফায় ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা যুব ঋণ গ্রহণ করে আমার প্রকল্পসমূহে গতিশীল করার চেষ্টা করি। বর্তমানে আমি সমাজে একজন আত্মকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছি। যারা প্রথম দিকে আমাকে মেয়ে বলে অবজ্ঞা অবহেলা করতো তারাই এখন আমাকে তাদের উন্নয়ন পথ প্রদর্শক মনে করে। চাকুরীর পিছনে না ঘুরে নিজের খামার পরিচালনা করে আমি আজ সাবলম্বী। আমার বার্ষিক আয় বর্তমানে প্রায় ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা। সফল আত্মকর্মী হিসেবে সমাজে সু-প্রতিষ্ঠিত।